মেঘের খেলা
একরাম আহমেদ শিশির
দড়ি ছুড়ে আকাশ পানে মেঘ ধরেছি শত,
সাদা রঙের মেঘ কেটে ভেলা বানিয়েছি কত।
মেঘের ভেলায় চড়ে সাত সাগর দিয়েছি পাড়ি,
তেরো নদী পেড়িয়ে গিয়েছি রাজকুমারের বাড়ি।
ছিলনা কোনো জাহাজ গাড়ি, না ছিল বায়ু যান
মেঘ দিয়ে বানিয়েছি বাহন–বাতাসে ভাসমান।
নারিকেলের পাতা দিয়ে বানিয়ে তিনটে চড়কা,
পিছন দিকে লাগিয়ে দিলে, পার করে আকাশ গঙ্গা।
একবার এক মুমূর্ষু রোগীকে দিয়েছিলাম লিফট,
ডাক্তারখানায় নিয়ে পরে করলাম পুরো ঠিক।
রাস্তায় যত বৃদ্ধ অন্ধ লাঠি ধরে হাটে,
গন্তব্যে তাদের পৌঁছে দিতে ভীষন ভালো লাগে।
রাত বিরাতে ঝড় উঠে যখন সমুদ্দুরের মাঝে,
মেঘের ভেলা নিয়ে বের হই নাবিকদের বাচাতে।
যখন কোনো দুষ্ট লোক করে খারাপ কাজ,
কালো মেঘের ট্যাংক বানিয়ে মাথায় ফেলি বাজ।
পানির অভাবে গরীব চাষারা কান্না করে যেথায়,
বর্ষাকালে ধরা মেঘ ছেড়ে দিয়ে আসি সেথায়।
অট্টালিকা আর প্রাসাদ গড়তে করি মেঘের ব্যয়,
ছোট ছোট রাজা প্রজাও বানাই তুষার মানব ন্যায়।
মেঘদের ধরে হরেক রকম কান্ড করি বেশ,
ভোরের আলো ফুটলে তবে মেঘের খেলা শেষ।
_________
আরো পড়ুন: ছোট গল্প: ময়ূরাক্ষী আমরাও - হাসান পিয়াস
বাংলা কবিতা: এই ধর আমি একরাম আহমেদ শিশির
إرسال تعليق