সে এসেছিলো
এক নিঃসঙ্গ রাত হয়ে ,
যেখানে ঘুম নেই বহুকাল ধরে,
তবুও বিছানায় রয়ে যায় এক সময়ে জ্বলে ওঠা শরীরের রেখা।
আমি তাকে প্রথম দেখিনি
তবে আমি প্রথমে ভুলে গিয়েছিলাম যে
সে ছিলো আমার।
আমি হয়তো অনেক শরীর ছুঁয়েছি,
সে ছিলো এত নামের ভিড়ে-
যে কেউ তাকে ডাকেনি ঠিক করে।
তবুও সেই রাতে, আমি জানালার কাছে দাঁড়িয়ে
শুধু তাকে জ্বলতে দেখেছি একটা নামহীন আলো হয়ে।
সে কোনো কথা রাখেনি
শুধু সে দাঁড়িয়ে ছিলো, চোখে নিভে না-যাওয়া দীপ্তি নিয়ে
কোনো প্রতিশ্রুতি আর ছিলো না তার ঠোঁটে, শুধুই নীরব চাহনি-
যেখানে ছিলাম আমি।
আর তার দুঃখ গুলো জ্বলজ্বল করে দহন হয়ে
গলছে মোমের মতন,
বুক ভিজিয়ে নেমে পড়ছে স্তনের ভাঁজ ছুঁয়ে।
সে আমাকে চেয়েছিলো, নিঃশব্দে, সবটা দিয়ে-
আর আমি শুধু তাকিয়ে দেখেছি,
একটা অসম্ভব ভালোবাসার অপরাধী হয়ে।
তার চুলের ঘ্রাণ ছিলো
সেইসব ভোরের,
যেখানে মৃত্যু আসে না,
তবে ঘুমও আর চায়না বাস্তবতায় মিশতে।
আমরা কেউ কোনোদিন বলিনি
ভালোবাসি- তবে সে নেই এখন,
যখন চলে গেল ঘরটা যেন থেমে গেলো,
জোনাকিরা সব নিভে গেলো,
আলো শুধুই জানালার বাইরে পড়ে থাকলো,
আর আমি আজও তার মুখ দেখি
যে মুখের প্রতিটি রেখাই আঁকা
আমার এক একটা ছায়ার আদলে।
إرسال تعليق