আমি একদিন উড়েছিলাম নক্ষত্র ছুঁয়ে
একটি শহরে-
সেখানে দোকানে বিক্রি হয় সময়ের রঙিন বোতল,
আর কবিতারা উড়ে কাক হয়ে আকাশে।
সেদিন ভেবেছিলাম এক সময়ে কেনা একটি চুম্বন
আর সেই ভূতুড়ে বালিকার দেয়া অনীহা।
কিন্তু আমি বুঝেছিলাম,
এই শহরের মতোই আমরাও একরকম বিভ্রম,
যেখানে প্রতিটি হাসি খুঁঝে কারণ
আর প্রতিটি প্রেম একটি ব্যর্থ চুক্তির মতো।
তারপর আমি বসে ছিলাম সময়ের প্রাচীন গ্রন্থাগারে,
দেখছিলাম
“মানুষ” শব্দটা আসলে কীভাবে বিকৃত হয়
ভয়, চাওয়া, লোভ আর বেঁচে থাকার দায়ে।
বেঁচে থাকা আসলে এক ধরণের আপস,
আর মৃত্যু?
সে তো কেবল নিঃশব্দ চিঠি,
যা প্রতিদিন পাঠানো হয় নিজের কাছে,
কিন্তু খোলা হয় না কোনোদিন।
এখন আমি হাঁটি একঘেয়ে একটা শহরে,
আমি দেখি একটা ছেলের ময়লা শার্ট
আর জ্বলজ্বলে চোখ ভরা ক্ষুধা,
দেখি এক বৃদ্ধার ক্লান্ত শরীর সাদা চুল
আর ছিড়ে পড়া শাড়ির আঁচল।
আবারও যখন রাত হয়, আমি চোখ বন্ধ করি
আর কল্পনায় উড়ি
সেই শহরটায়, যেখানে প্রেম বিক্রি হয় খোলা আকাশে,
আর আমি এখনো দাঁড়িয়ে
এক পংক্তির নিচে
“বেঁচে থাকা মানেই সব ভুলে যাওয়া নয়।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন