আমেরিকারর সুপারপাওয়ার হওয়ার কাহিনী! কীভাবে আমেরিকা পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী দেশে পরিনত হল?
কোন দেশ পৃথিবীর সব থেকে বড় সুপারপাওয়ার? আসুন আগে এই প্রশ্নের উত্তরটি দেখি। আচ্ছা কোন দেশর ইকোনমিক পৃথিবীর সব থেকে বড়?অবশ্যই আমেরিকা! এই দেশটির জিডিপি ২২ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি(২০২১)। কোন দেশের কোঃ সারা দুনিয়ায় রমরমা ব্যাবসা করতেছে? কোন দেশের মুভি, টিভি শো সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয়? কোন দেশ সব থেকে বেশি নোবেল প্রাইজ জিতেছে?কোন দেশের মিলিটারি সব থেকে শক্তিশালী? এই সব প্রশ্নের উত্তর আমেরিকা।
American Flag |
কিন্তু প্রশ্ন হলো কীভাবে আমেরিকা পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী দেশে পরিনত হলো? কীভাবে আমেরিকা হলো পৃথিবীর নম্বর ওয়ান সুপারপাওয়ার হলো?
History of world economy |
একটু পেছন থেকে শুরু করি। সাল ১৮০০ এর আগে ইন্ডিয়া এবং চায়না পৃথিবীর সুপারপাওয়ার ছিল। তখন পৃথিবীর জিডিপি অধিক অংশের মধ্যে এই দুই দেশের কন্ট্রিবিউশন ছিল।কারণ বিশের বেশিরভাগ ট্রেড এবং ইকোনোমিকাল এক্টিভিটি ইন্ডিয়া এবং চায়নার মধ্যেই হত।কিন্তু ১৮০০সালের পরে দৃশ্য পাল্টাতে শুরু করে। উনিশ শতকের পরের একশো বছরে হঠাৎ আমেরিকা নিজেদের ডমিনেন্স দেখায়।
অক্টোবর ১২ ১৪৯২, ইতালিয়ান এক্সপ্লোরার ক্রিস্টোফার কলোম্বাস আমেরিকার আবিষ্কার করেন। এরপর পরই ইউরোপীয়রা আমেরিকা সম্পর্কে জানে এবং আমেরিকায় ইউরোপীয়দের মাধ্যমে আমেরিকায় কলোনাইজেশনের শুরু হয়। তখন সেখানে নেটিভ আমেরিকান বা রেড ইন্ডিয়ানরা বসবাস করত।
Red Indian or Native American |
স্পেন মোস্টলি সাউথ আমেরিকায় কলোনাইজেশন করে। আর এজন্যই সেখানের বেশিরভাগ মানুষ স্পেনিশ ভাষা বলে। তারপর ব্রিটেন, ফ্রান্স বসতি স্থাপন করে। এর পর পরই সেখানে নেটিভ আমেরিকানদের পপুলেশন কমতে থাকে৷ এর অনেক কারণ আছে তবে প্রধান একটি কারণ হলো ইউরোপিয়দের সাথে আসা ডিজিস সেখানে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন: স্মল ফক্স, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি, যেসবের ইমিউনিটি ওই নেটিভ আমেরিকানদের শরীরে ছিল না।
American revolutionary war |
কিছু সময় পরে ৪ জুলাই ১৭৭৬ সালে আমেরিকান রেভুলোশনারিরা স্বাধীনতার ঘোষণার দেয়। ব্রিটিশদের রাজত্বর শেষে আমেরিকা নতুন একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে পরিচয় লাভ করে৷ এখানে শুরু হয় ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকার। তবে আমেরিকার উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয় ১৮৫০ সালের পর। এইটা ঐ সময় ছিল যখন ব্রিটেন, স্পেন এবং ফ্রান্স বিশ্বের নানা জায়গায় নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। তখন ভারতবর্ষও ব্রিটিশরা শাসন করত। সেই সময় আমেরিকার একটি গনতান্ত্রিক দেশে প্রতিষ্ঠত হয়েছিল।
US map |
তখন অনেক নতুন দেশ ব্রিটিশ রাজ থেকে বেরিয়ে এসে ইউএস এর সাথে যুক্ত হয়। ১৮৩৬ তে টেক্সাস একটি দেশ ছিল যেটা ম্যাক্সিকো থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।তারপরেও ম্যাক্সিকো তাদের উপর নানা ভাবে অত্যাচার করতে থাকে। যার জন্য টেক্সাস আমেরিকার সাথে যুক্ত হয়। আর এভাবে একে একে সব গুলো স্টেটস আমেরিকার সাথে যুক্ত হয় এবং আমেরিকা বড় হতে থাকে৷ এসব স্টেটের যুক্ত হওয়ার পিছনে তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্য ছিল। তবে এতে আমেরিকারও সুবিধা ছিল। আমেরিকা একটা ডেমোক্রেটিক কান্ট্রি ছিল তো বটে। তবে তাদের নিজেদেরও কিছু উদ্দেশ্য ছিল। সেটা ছিল আমেরিকাকে যত বড় বানানো যায় ততই তাদের জন্য ভালো। এই উদ্দেশ্যে আমেরিকা আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়। যেমন আলাস্কা টেরিটোরিটা রাশিয়া থেকে কিনে নেয় ১৮৮৭ সালে। এমনই প্যাসিফিক ওশানের মাঝের আরেকটি জায়গা "হাওয়াই" জায়গাটা তারা দখল করে নেয়।১৮৯৮ সালে কিংডম অব হাওয়াই কে অভারথ্রো করে দেয়। পুয়টেরিকো, গুয়াম এবং ফিলিপিনকেও ইউএস এনিক্স করে ১৮৯৮ সালে। ইউএস ২০ মিলিয়ন ডলার স্পেনকে দেয় ফিলিপিনকে নিজেরদের দখলে নিতে। তবে আগে গিয়ে ফিলিপাইন ইউএস এর থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৪৭ সালে।এসবের পর বিশং শতাব্দীতে এসে ইউএস অনেক বড় একটি দেশে পরিনত হয়। আর একটি দেশ যত বড় হবে সেই দেশের ইকোনমিক তত বড় হবে।
Picture of wwii |
আমেরিকার যাদু শুরু হয় ১৯০০-১৯৫০ সালের মাঝামাঝি সময়ে। এই ৫০ বছরে পৃথিবীর মানুষ দুটি বিশ্বযুদ্ধ দেখে। তবে এই বিশ্বযুদ্ধ কোথায় হয়?ইউরোপে হয়। ফ্রান্স, জার্মানি, ইউকে, স্পেন, ইতালি এরা যখন একে উপরের সাথে যুদ্ধ করতে মুগ্ন। তখন ইউএস উপর দিকে শান্তিতে যুদ্ধ দেখছিলো। যদিও ইউএসও এই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল। তবে হাতিয়ার সাপ্লাই করে। ইউএস এর অনেক সোলজার শহিদ হলেও আমেরিকার মাটিতে কিন্তু যুদ্ধ হয় নি। এই সময়ে যখন সব দেশের ইকোনমি দুর্বল হচ্ছিলো তখন এর ইউএস এর ইকোনমিক উপরের দিকে উঠছিল। বরং ইউএস এ এই সব ইউরোপীয় দেশে হাতিয়ার বিক্রি করে লাভ গুনতেছিল।
US Economy During World war |
যখন ইউরোপীয় দেশগুলোতে একের পর এক যুদ্ধ হল তখন সেসব দেশের মানুষের মধ্যে নিজেদের দেশের ইকোনমির প্রতি আস্থা কমে যায়৷ আর মানুষজন তখন আমেরিকান ডলার কিনা শুরু করে। কারণ আমেরিকা একটি স্ট্যাবল দেশ ছিল ওয়াল্ড ওয়ারের সময়ে। যার ফলে ইউএস ডলারের মূল্য বেড়ে যায়। ১৯৪৪ সালে যখন ওয়াল্ড ওয়ার শেষের দিকে ছিল, তখন ৪৪ এলাইট দেশ সিন্ধান্ত নেয় নিজেদের কারেন্সি ইউএস এর সাথে যুক্ত করবে এবং ইউএস ডলার গোল্ডের সাথে লিংকড থাকবে। এতে তাদের ইকোনমি স্ট্যাবল থাকবে। আর যখন এলাইট দেশ গুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিতে এবং এভাবে ইউএস ডলার ইন্টারন্যাশনাল কারেন্সিতে পরিনত হয়।
এর পর ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড(IMF) এবং জাতিসংঘের মতন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়, যেখানে আমেরিকা অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এমনই একটি সংস্থা ছিল যার নাম NATT( The General Agreement on Tariffs and Trade)। এটি ২৩টা দেশ মিলে গঠন করে। এই দেশ গুলোর মূল লক্ষ্য ছিল নিজেদের ইকোনমি বুস্ট করা। এসব দেশ নিজেদের মধ্যকার ট্রেড ব্যারিয়ার উঠিয়ে ফেলবে। এখানে তারা ন্যাশনালিজম প্রমোট করার বদলে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ও গ্লোবালাইজেশনকে প্রমোট করেছে। এই সংস্থাটিই পরে গিয়ে WTO(World Trade Organization) এ পরিণত হয়।
Cartoon:Communism vs Capitalism |
১৯৫০ এ ইউএস এবং রাশিয়া এই দুটি দেশ বিশ্বের দুটি সুপারপাওয়ার দেশে পরিনত হয়। আর এখানেই শুরু হয় এই দুই দেশের মধ্যে কোল্ড ওয়ারের। এটি একটি আইডিয়লজিকাল ওয়ার ছিল কমিউনিজম এবং ক্যাপিটালিজম এর মধ্যে। তবে এই দুই দেশ নিজেদের মধ্যে ডিরেক্টলি যুদ্ধ না করে একধরনের প্রক্সি ওয়ার খেলে। মানে একে অন্যর দেশে না গিয়ে, অন্যান্য যেসব দেশ রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে যুদ্ধ করবে। যেসব দেশে কমিউনিজম ছড়িয়ে যাচ্ছিল আমেরিকা সেসব দেশে গিয়ে সরকারকেই নামিয়ে দিত। কখনো অপোজিশনকে টাকা ফান্ডিং করে। তো কখনো ট্যারোরিস্ট গ্রুপকে ফান্ডিং করে। আবার কখনো ডিরেক্টলি রেভুলোশনারিদের এসোসিনেট করে । যেমন: ১৯৬৪ সালে ভোলেবিয়ান কুপে চি গুয়েভারাকে CIA এর মাধ্যমে এক্সিকিউট করে দেয়। অপারেশন সাইক্লোনে আফগানিস্তানে গিয়ে তাকেবানকে ফান্ডিং করে যাতে রাশিয়ান কমিউনিজম ইডিয়লজিকে থামানো যায়।এমনই আরো অনেক কাহিনি রয়েছে ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, কংগো,ইরান আরো অনেক দেশ রয়েছে। এতগুলো দেশের ইন্টারনাল পলিটিক্স এ হস্তক্ষেপ করার কারণে অনেক গুলো দেশ সরাসরি ডিপেন্ডেন্ট হয়ে যায় আমেরিকার উপর।যার ফলে আমেরিকা আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠে।এই জন্যই ৭০টি ভিন্ন ভিন্ন দেশে আমেরিকার ৮০০টির বেশি মিলিটারী বেস রয়েছে। এই মিলিটারি পাওয়ার অর্জন করার জন্য আমেরিকা অনেকটা খরচ করে মিলিটারির পিছনে। তাই আজ আমেরিকান মিলিটারী সারাবিশ্বে এক নম্বর। তবে এটা মোটেও একটি ভালো দিক নয়।
১৯৪৯ সালে আমেরিকা ইউরোপীয় দেশ গুলোর সাথে এক হয়ে NATO(North Atlantic Treaty Organisation) প্রতিষ্ঠা করে, ইউরোপীয় দেশ গুলোতে রাশিয়ান ইনফ্লুয়েন্সকে থামানোর জন্য। এই NATO এখনো রয়েছে। যার ফলে ইউরোপীয় দেশ গুলোর সাথে আমেরিকা সব সময়ই কো-অপারেটিভ ছিল এবং বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশ আমেরিকার উপর ডিপেন্ডেবল রয়েছে কারণ তাদের নিজেদের ইকোনমি দূর্বল হয়ে যায়।
তবে সব কিছুর জন্য একটা দেশকে ব্লেম করা ঠিক না। কারণ অনেক প্রেসিডেন্ট ছিল যারা মিলিটারী ফোর্সের উপর বেশি নজর দিত যেমন: রোনাল্ড রিগান,রিচার্ড নিকসোন, জর্জ বুশ, ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ অন্যদিকে কিছু প্রেসিডেন্ট এমন ছিল যারা পিসফুল আলাইএন্স এ বেশি ফোকাস দেয়। তাদের মিলিটারির উপর তেমন কোনো ইন্টারেস্ট ছিল না। যার ফলে দেশ শান্তিতে অগ্রসর হয়। এদের মধ্যে আল গোর(ভাইস প্রেসিডেন্ট),উড্রো উইলসন, বারেক ওবামা,জিমি কার্টার অন্যতম।উড্রো উইলসন ঐ প্রেসিডেন্ট ছিল যিনি সিন্ধান্ত নেন আমেরিকাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে বাহিয়ে রাখবেন। যসিও ১৯১৭তে আবার হস্তক্ষেপ করে কারন আমেরিকায় কেবল যুদ্ধ থামাতে পারত। উনিই শুরু করেন League of Nations এর যার উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এটি অনেকটা UN এর মতই ছিল।
Cold War Map |
তো কোল্ড ওয়ারের সময় পুরো বিশ্ব ২ভাগ হয়ে যায়। কোনো দেশ আমেরিকার সাথে ছিল আবর কোনো দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে।তো বলাই বাহুল্য এসবের ফলে কেবল মাত্র এই দুটি দেশই শক্তিশালী হচ্ছিল। তবে পরে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যায় তখন শুধুমাত্র একটিই সুপার পাওয়ার থেকে যায়। তাহলো আমেরিকা।
তো এইসব কারণ তো কেবল জিও পলিক্যাল ছিল। আমেরিকার ইন্টারনাল অনেক কারণও রয়েছে যেসবের কারণে আমেরিকা আজকের সুপারপাওয়ারে পরিণত হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটা বড় কারণ আমেরিকার পলিসি যা সব সময় ট্যালেন্টদের আকর্ষণ করে। আপনি নিজেই ভাবুন আমাদের দেশে যেখানে ট্যালেন্টের কোনো দাম নেই, সেখানে আমেরিকা ট্যালেন্টদের নিজেদের দেশে আকর্ষণ করে। আপনি গুগল করলেই দেখতে পাবেন কতগুলো বাংলাদেশিরা আমেরিকায় গিয়ে সাকসেসফুল হয়। আমেরিকার পলিসি সব সময়ই ভালো ইমিগ্রেন্টদের আকর্ষণ করে। ইলোন মাস্ক,আলবার্ট আইন্সটাইন, কল্পনা চাওলা এমন আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে। আমেরিকার যেই পলিসি আর কালচার সেটি সব সময় ট্যালেন্টকে প্রমোট করে। উদ্ভাবনকে প্রমোট করে।
এখন কথা হচ্ছে এত বড় সুপারপাওয়ার হয়েও আমেরিকার গ্রাউন্ড রিয়েলিটি কি? আমেরিকার মানুষের হোম ওনারশিপ রেট ৬৫.৮% (২০২০)। যার মানে ৩৪.২% মানুষের কাছে নিজেদের বাড়ি নেই।আমেরিকা বিশ্বের সব থেকে আন ইকুয়াল কান্ট্রি। টপ ১% মানুষের কাছে ৪২.৫% সম্পদ রয়েছে। হেলথ৷ কেয়ার সিস্টেম আমেরিকার অনেক বেশি এক্সপেন্সিভ এবং খারাপ।অবেসিটি লেভেল অনেক কমে গিয়েছে আমেরিকায়। আমেরিকার অনেক ছেলে মেয়ে তাদের কলেজ টিউশন ফিস এফোর্ড করতে পারে না। পড়াশোনা করতে গিয়ে ছেলে মেয়েরা লাখের ঋণে পড়ে যায়। তাছাড়া আমেরিকায় তেমন কোনো গান(Gun) লো নেই। এক বছরে আমেরিকায় প্রায় ৬০০ মাস শুটিং হয়েছিল ২০২০ সালে। যার ফলে ৩০০০ এর অধিক মানুষ মারা যায়।
Human Development Index Ranking |
যদি আমেরিকা এত টাকা নিজেদের মিলিটারির উপর না খরচ করে সাধারণ জনতার জীবন উন্নয়নের পিছনে খরচ করত তাহলে হয় এই সুপারপাওয়ারের কিছু মূল্য থাকত।এখনকার সময়ে নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক এসব দেশ হিউম্যান ডেভলপমেন্টে আমেরিকা থেকে কত এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু এসব দেশকে কেউ সুপারপাওয়ার ডাকে না। হয়ত এইসব দেশের ইকোনমি এত বড় না, হয়ত দেশের মিলিটারি এত পাওয়ারফুল না। তবে এই দেশ গুলোতে একটক মানুষের জন্য জীবন যাপন করাটা অনেক ভালো আমেরিকার তুলনায়।
তো সর্বশেষ একটি দেশের জন্য সুপারপাওয়ার হওয়াটা মঙ্গলময় না এবং এর পিছনে না দৌড়ানো। দেশকে ডেভলপ করা, দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য একটি সুন্দর জীবন নিশ্চিত করাই একটি দেশের মূখ্য উদ্দেশ্য হওয়া প্রয়োজন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন